অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে World is one বলা হলেও অনলাইন সম্প্রচার নীতিমালা নির্ধারনীর ক্ষেত্রে একটি দেশের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার, ঐতিহ্য, স্বাভৌমত্ব রক্ষা করে সর্বচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আইপিটিভি প্রকল্পের প্রকৃত বাস্তবায়ন ও বহিঃবিশ্বের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে- দেশের নেটওয়ার্ক কাঠামো উন্নয়ন, লাইসেন্সিং সমস্যা সমাধান, কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও বাজার বিকাশ, আইপিটিভির অনুমোদন প্রদান সব মিলিয়ে – নিয়ন্ত্রকদের জন্য এই আইপিটিভি প্রকল্প একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।

 

অনলাইন সম্প্রচার নীতিমালা প্রনয়নে লক্ষনীয় পদক্ষেপ সমুহ:

০১. অনলাইন সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক নির্ধারন।

০২. অনলাইন সম্প্রচার লাইসেন্স নির্দেশনা।

০৩. কন্টেন্ট নির্দেশনা ও প্রনোদনা।

০৪. বিতরন কৌশল নির্ধারণ। 

০৫. বিপণন কৌশল নির্ধারণ। 

০৬. নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং সেল।

০৭. নেটওয়ার্ক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ন্যাশনাল OTT ।

 

ভূমিকাঃ

প্রযুক্তি উন্নয়নে সম্প্রচার এবং টেলিযোগাযোগ একত্রিত হয়েছে, এখন আইপিটিভি কি শুধুই টেলিভিশন সম্প্রচার মাধ্যম না নাকি এর চেয়ে আরও এগিয়ে নতুন এক মাধ্যম ? এ প্রশ্নের জবাব পেতে ও আইপিটিভির আদ্যপ্রান্ত জানতে পড়ুন “আন্তর্জালিক পৃথিবী” http://book.ekaysar.infonfo

তবুও এক কথায় আইপি টিভি কি ?

আইপি টিভিঃ উৎস থেকে ইন্টারনেট প্রোটোকলের মাধ্যমে মিডিয়া ও ডেটা অনলাইন সম্প্রচার করার ক্ষমতা সম্পন্ন সিস্টেম আইপি টিভি।

আইপি টিভি ব্রডকাস্টারঃ একক উৎস থেকে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও আইপিভিত্তিক অনলাইন সম্প্রচারকারী আইপি টিভি ব্রডকাস্টার।

আইপি টিভি অপারেটরঃ আনেকগুলো টিভি চ্যানেল (ক্যাবল টিভি, টেরেস্ট্রিয়াল টিভি, স্যাটেলাইট ও আইপি টিভি), ষ্ট্রিমিং বা অনলাইন সম্প্রচার বা Re-broadcast , VOD, পে-পার-ভিউ ও অন্যান্য পরিষেবা আইপি নেটওয়ার্কে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান আইপি টিভি অপারেটর।

অনলাইন সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক নির্ধারন

অনলাইন সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ নিশ্চিতকরণ কেন প্রয়োজন ?

নিয়ন্ত্রকদের জন্য পদ্ধতিগত ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনেই ভুল বা সঠিক বলে কিছু নেই, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এই ধরনের পরিষেবাগুলোর সংশ্লিষ্টরা যে পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হবে, তাদের অধিকার সংরক্ষিত হবে সে বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ নিশ্চিত করে, সরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে এখতিয়ার বিতর্কের কারণে নিয়ন্ত্রণ মূলক বাধা এবং লাইসেন্সিং প্রথা প্রচলনে সৃষ্ট জটিলতা গুলো দূর করার চেষ্টা করা। কারণ এই প্রকল্পের নিজস্ব রুপ দিতে যত বিলম্ব হবে, অনন্যা দেশ, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আপনার বাজার তত বেশি দখল করে নিবে ও দেশ বঞ্চিত হবে বিপুল রাজস্ব থেকে সর্বপরি পরিবার, সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসনে।

নিয়ন্ত্রকদের জন্য নতুন এই আইপি টিভি পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্র ঊদগ্রীব হবার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, সম্ভাব্য ভাবনা এই যে, লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, অনলাইন সম্প্রচার মাধ্যম প্রযুক্তিগত কারনেই ব্যাপক পরিধির অধিকারী বিধায় আনেকগুলো সরকারি সংস্থার মধ্যে এখতিয়ার বিতর্কের সৃষ্টি করে ও আইপি টিভি প্রসঙ্গে এসে তাদের অবকাঠামোর অস্তিত্বকেই চ্যালেন্জ করে বসে, যেমনঃ

ক) সম্প্রচার মাধ্যম ও ক্যাবল অপারেটর “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” এর অধীনে।

খ) ইন্টারনেট পরিসেবা ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান “ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ” এর অধীনে।

গ) এ শিল্পের প্রজুক্তিগত গবেষনা ও উন্নয়নে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ” (ICT Ministry) সহযোগিতা ও দরকার।

কাজেই একটি সুষ্ঠ কর্ম পরিকল্পনার জন্য সমন্বয় প্রয়োজন।

অনলাইন সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক নিশ্চিতকরণ পদ্ধতি কেমন হয়ে থাকে ?    

একত্রিত নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষঃ 

বিশ্বে প্রায় ৩০টি দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রকদের একত্রিত করে “একত্রিত নিয়ন্ত্রক” Combined Control Authority প্রতিষ্ঠা করেছে। যেমন- অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, ইরাক, ইতালি, জাপান, কেনিয়া, মালি, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ–আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, উগান্ডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।

সরকারি সংস্থাগুলি নিজ এখতিয়ারের মধ্যে থেকে যে যার নির্ধারিত কাজ করে যাবে, তবে একটি পরিকল্পিত কর্মবণ্টন প্রয়োজন হয়েছে।   

পৃথক নিয়ন্ত্রক বা নতুন কর্তৃপক্ষঃ  

বর্তমানে পৃথিবীর ১৪৮টি দেশে আইপি টিভির পৃথক একটি করে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ রয়েছে।

একটি একক নিয়ন্ত্রক সরকারী ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে পারে আইপি টিভি সম্প্রচার, বিতরণ, বাজার বিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রূত সমাধান করতে। 

একত্রিত নিয়ন্ত্রক পদ্ধতিতে আইপিটিভির বর্ধিত দায়িত্ব বন্টন কেমন হতে পারে ?

নিয়ন্ত্রকঃ তথ্য ও সম্প্রচার নিয়ন্ত্রন কতৃপক্ষ।

বর্ধিত দায়িত্ব: লাইসেন্স প্রদান, সম্প্রচার নির্দেশনা ও কন্টেন্ট নির্ধারণ। 

নিয়ন্ত্রকঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কতৃপক্ষ:

বর্ধিত দায়িত্ব: প্লাটফর্ম, বিতরন পরিচালনা, মনিটরিং সেল।  

নিয়ন্ত্রকঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রন কতৃপক্ষ (e,g- ICT Ministry)।

বর্ধিত দায়িত্ব: অনলাইন সম্প্রচার প্রযুক্তি গবেষনা, উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও প্রনোদনা প্রদান।

অনলাইন সম্প্রচার লাইসেন্স নির্দেশনা

অনলাইন সম্প্রচার লাইসেন্সের সময় উপযোগী রুপদানের লক্ষে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের পর্যালোচনার আলোকে আইপিটিভির পরিসর, পরিসেবা, বিতরণ এবং বিপণন কৌশল বিবেচনা করে আমদের জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম লাইসেন্সিং সহজ ও প্রগতিশীল করতে শ্রেণীবিন্যাস করে প্রয়োজন, যেমন-

০১. আইপি টিভি ব্রডকাস্টারঃ
অনুষ্ঠান নির্মান ও আইপি ভিত্তিক সম্প্রচারকারী , (একক সম্প্রচার, ভিডিও-অন-ডিমান্ড বা ভিওডি, পে-পার-ভিউ)

০২. আইপি টিভি ডিস্ট্রিবিউটরঃ
দেশী এবং বিদেশী আইপি টেলিভিশন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন, টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন, কেবল টেলিভিশন, রেডিও, ওয়েব পোর্টাল শীর্ষক আইপিটিভি পরিষেবা ভোক্তার পৌঁছান বা প্যাকেট পরিবহনকারী, যেমন
(ক) ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী (আইএসপি এবং মোবাইল অপারেটর),
(খ) ডিজিটাল কেবল টিভি অপারেটর ( আইপি ভিত্তিক)।
(গ) একাধিক ওয়েব ভিত্তিক মিডিয়া পরিষেবা প্রদানকারী পোর্টাল বা অ্যাপস্। (নেটফ্লিক্স, হিচি, জাগোবডি, বঙ্গবিডি এবং অন্যান্য)।

০৩. ইন্টারনেট রেডিওঃ (শুধুমাত্র শব্দ এবং ডেটা অনলাইন সম্প্রচারকারী)

০৪. ই-প্রকাশক (ছাপাখানা থেকে ই-প্রকাশনা আসা মাধ্যম গুলো যেমন- সংবাদ পত্র, ম্যাগাজিন, আর্ট গ্যালারী, বুক এবং অন্যান্য প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বানিজ্যিক ভাবে ই-প্রকাশনায় আসতে আগ্রহী উদ্যোক্তারা এর অন্তরভূক্ত হবেন)

০৫. সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্টঃ
সোশ্যাল মিডিয়া আইপি-ভিত্তিক ডেটা ট্রান্সমিশন এবং লাইভ সম্প্রচার অফার করে, এটি আইপি টিভির চরিত্র বহন করে ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুজব এবং আপসংস্কৃতির বিস্তার রোধে সোশ্যাল মিডিয়া এই নিতীমালার আওতাধীন আনা প্রয়োজন।
কারা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবে?
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয়ের জন্য প্রত্যেককে এই বিভাগে তালিকাভুক্ত করা উচিত:
যেমন টেলিভিশন চ্যানেল, প্রোডাকশন হাউজ (জ্যাজ মাল্টিমিডিয়া, ঈগল প্রোডাকশন, সাউন্ড টেক ইত্যাদি),
বিনিয়োগকারী, ই-বিজ্ঞাপনদাতা এবং ই-বিজ্ঞাপন সংস্থা।

কন্টেন্ট নির্দেশনা ও প্রনোদনা

আইপিতে চ্যানেল সম্প্রচারকরীর বাধ্যবাধকতা কেমন থাকা প্রয়োজন ?

গণমাধ্যমের দেশের প্রতি একটা দায়বধ্যতা রয়েছে আর এ লক্ষ পূরনে কিছু বাধ্যবাদকতা, কিছু দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন, যেমন-

০১. জাতীয় কন্টেন্ট নির্মাণ ও সম্প্রচারঃ 

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে লাইসেন্সধারীদের তাদের অনুষ্ঠান নির্মাণে জাতীয় বিষয়বস্তু (National Conant) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।

মালয়েশিয়া-৮০%, ফ্রান্স- প্রাইম-টাইম প্রোগ্রামিং ৪০% ফরাসি ও ৬০% ইউরোপীয়, এবং ব্রাজিল- ৮০% জাতীয় কন্টেটের জন্য কোটা অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট-  

বাংলাদেশের চ্যানেলগুলি আইপিতে সম্প্রচারে শর্ত হিসেবে ৪০% জাতীয় কন্টেন্ট নির্মান ও সম্প্রচারে 

বাধবাদকতা থাকা প্রয়োজন, কেননা গণমাধ্যমের দেশের প্রতি একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। জাতির 

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য বিশ্বময় তুলে ধরার লক্ষ্যে আইপিতে জাতীয় কন্টেন্ট নির্মাণ ও 

সম্প্রচার বাধ্যগত করা প্রয়োজন । অবশিষ্ট ৪০% বিনোদন ও ২০% সংবাদ প্রচারের অনুমতি প্রদান 

করলে এ নতুন সম্প্রচার মাধ্যম প্রতিষ্ঠিত শিল্পে রুপ নিতে পারে।

০২. বিশেষায়িত চ্যানেলঃ 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষায়িত চ্যানেলগুলো প্রত্যেকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করে থাকে। যেমন- কানাডা, ভাষাগত নীতির প্রচার করে, যুক্তরাজ্য- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে দেশকে উপস্থাপন করে, জাপানঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কতা প্রদান করে, পাকিস্তানঃ ধর্ম প্রচার করে।                                     

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেঃ  শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণ, খেলাধুলা, কৃষ, বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক বিশেষায়িত চ্যানেল গঠন করে দেশীয় উন্নয়নে অংশ নিতে পারে তথা বিশেষায়িত চ্যানেলগুলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে।  

প্রণোদনা প্রদানঃ

বাংলাদেশে যেহুত আইপি টিভির বাজার তৈরি হয়নি, প্রচলিত স্যাটেলাইট মাধ্যম ও বিদেশি চ্যানেল গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে গ্রাহক বা জনপ্রিয়তা তৈরি কঠিন হয়ে উঠবে এ নতুন শিল্পের জন্যে পাশাপাশি

(National content ) জাতীয় কল্যাণে কন্টেন্ট নির্মানে উদ্বুদ্ধ করনের লক্ষে সরকারের সরাসরি সহযোগিতা প্রয়োজন।  

প্রণোদনা শর্তঃ  চ্যানেলে ৪০% জাতীয় কল্যাণে কন্টেন্ট নির্মান ও সম্প্রচারে প্রণোদনার অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে।

আলোচ্য কন্টেন্ট নির্দেশনা ও প্রনোদনা এ নতুন সম্প্রচার মাধ্যম কে প্রতিষ্টিত শিল্পে রুপ দিতে পারে।

বিতরন কৌশল নির্ধারণ

আইপি টিভি ড্রিস্ট্রিবিউশন কারা করতে পারে ?

০১. ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (ISP ও মোবাইল অপারেটর),

০২. ডিজিটাল ক্যাবল টিভি অপেরেটর।

০৩. ওয়েব ভিত্তিক বহুবিধ মিডিয়া পরিষেবা প্রদানকারি পোর্টাল বা অ্যাপস। 

ড্রিস্ট্রিবিউটরের সক্ষমতা প্রদানঃ  

০১. টেলিভিশন চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন। (আইপি টিভি, স্যাটেলাইট টিভি, টেরেস্ট্রিয়াল টিভি, কেব্‌ল টিভি)

০২. রেডিও স্টেশন ডিস্ট্রিবিউশন।

০৩. পে-পার-ভিউ লাইভ ইভেন্ট দেখানো (ফুটবল, ক্রিকেট খেলা ) ।

০৪. ভিডিও অন ডিমান্ড VOD (সিনেমা, নাটক এবং অন্যান্য) ।

০৫. ব্যক্তিগত ভিডিও রেকর্ডার (PVR )।

০৬. স্বয়ংক্রিয় সিরিয়াল রেকর্ডিং (যেমন- টিভি সিরিয়াল, সংবাদ) ।

০৭. পিতা-মাতার নিয়ন্ত্রণ : পৃথক চ্যানেল বা শো ব্লককরণ।

০৮. 4K টেলিভিশন ডিস্ট্রিবিউশন।

বিপণন কৌশল নির্ধারণ 

আইপি টিভি ব্রডকাষ্টারের বাজার নির্ধারনঃ 

০১. আইপি বক্স এ (Set top box) ফিড বিতরণ ও Profit Share ।

০২. ISP-এর মাধ্যমে ফিড বিতরণ ও Profit Share ।

০৩. মোবাইল অপেরেটরের মাধ্যমে ফিড বিতরণ ও Profit Share ।

০৪. Web Page & Apps (হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, জাগো বিডি, বঙ্গ বিডি)

০৫. ডিজিটাল ক্যাবলে ফিড বিতরণ ও Profit Share।

০৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিড প্রদান ও অনলাইনে আয়।

০৭. D2H এ ফিড বিতরণ ও Profit Share।

০৮. দেশীয় ও আন্তর্জতিক বিজ্ঞাপন বাজারে অবাধ বিচরন।  

 কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং সেল গঠন

কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ সেলের কার্যপ্রণালী কেমন হতে পারে ?

০১. অনুষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রন।

০২. ন্যাশনাল কন্টেন্ট নির্মানে উদ্বুদ্ধ করন।

০৩. দেশী ও আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং ও বাজার তৈরি কল্পে কাজ করা।

০৪. অনুষ্ঠান রপ্তানিতে সহযোগীতা করন। 

০৫. অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচারে দেশাত্ববোধ সৃষ্টি।

০৬. গবেষণা ও উন্নয়ন।

০৭. প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদান। 

  

মনিটরিং সেল (ফায়ার ওয়াল) এর কার্যপ্রণালী কেমন হতে পারে ?

(মনিটরিং সেল মিডিয়া ফায়ার ওয়াল হিসেবে কাজ করবে। অপসংস্কৃতির দেশে ঢুকতে দিবে না, আবার বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টকরে এমন অনুষ্ঠান সম্প্রচার রোধ করবে)  

কার্যপ্রণালীঃ   

০১. চ্যানেলের স্ট্রিমিং বরাদ্দের পূর্বে অপচয় রোধ ও সর্বনিম্ন মান রক্ষা কল্পে প্রোজেক্ট অবকাঠাম পর্যবেক্ষণ।   

০২. সম্প্রচারের ২৪ ঘণ্টা পূর্বে দৈনিক সম্প্রচার সূচি গ্রহণ।    

০৩. মাল্টি চ্যানেল মনিটরিং।

০৫. ন্যাশনাল কন্টেন্ট ৪০% সম্প্রচার নিশ্চিতকরণ।

০৬. অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচারে দেশাত্ববোধ নিশ্চিতকরণ।

০৭. মিডিয়া অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা গঠন ।

       ক)  মিথ্যা, গুজব, জন হয়রানি, দেশদ্রোহি মুলক সম্প্রচার থেকে বিরত রাখা। 

       খ)  মিডিয়া অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ, কর্মচারী কল্যাণ, বেতন কাঠামো পর্যবেক্ষণ।

       গ)  মিডিয়া/প্রতিষ্ঠান বা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান ও বিচার সম্পন্ন।      

       ঘ) বিজ্ঞাপন বাজার মনিটরিং ও সিন্ডিকেটে রোধ। 

 

নেটওয়ার্ক অবকাঠামোগত উন্নয়ন

আইপিটিভি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন ও Smooth Streaming পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন।

০১. লোকাল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নয়ন।  

০২. জাতীয় OTT প্লাটফর্ম স্থাপন।

একটি ন্যাশনাল OTT প্লাটফর্ম স্থাপন করা হলে-

      ক) Smooth Streaming পরিচালনা ও স্বল্প  খরচে শিক্ষার্থীর অনলাইন এডুকেশন সেবা প্রদান সম্ভব হবে,

      খ) চিকিৎসা, শিক্ষা, বিচার বাবস্থা, কৃষি, ই-বাজার তথা Smooth Video conference সম্ভব।

      গ)  অনেক প্রজেক্টই লোকাল হোষ্টে রান করা সম্ভব হবে কাজেই ইন্টারনেট আমদানি হ্রাস করা সম্ভব।

সর্বপরি দেশব্যাপী লোকাল নেটওয়ার্ক অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেশকে পৌছে দিবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর কাঙ্খিত লক্ষ্যে ।

পরিশেষে-

গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টিয়ে বর্তমান প্রজন্মের অনলাইন আসক্তিদিয়ে সম্ভাবনার রংধনু এঁকে কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে চাই “থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে ………….. বিশ্ব-জগৎ দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে”।

(কি আশ্চর্য দর্শন, ১০০ বছর পূর্বে কবি লিখে গেছেন আর আজ আমরা মুঠো ফোনে বিশ্ব দেখছি!)

আইপিটিভি হবে দেশের প্রধান গণমাধ্যম

 

পাঠকের মতামত কামনায়

ইঞ্জিনিয়ার ইমরুল কায়সার